ফুটসাল ফুটবল খেলার নিয়মাবলী-ফুটবল খেলার জন্ম কত সালে
ফুটবল খেলার জন্ম কোন দেশে?
পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষের পরিচিত এবং প্রিয় খেলা হলো ফুটবল। যেটিকে অনেকে সকার
বলে থাকে।বেশিরভাগ মানুষের মতে ফুটবল খেলা সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে শুরু হয়। তবে এর
ভিন্ন মত রয়েছে, চীনে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলার জন্ম ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে সেটি
দেখা যায়।
প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে গ্রিক এবং রোমান সম্প্রদায় বল দিয়ে খেলা শুরু
করেন। তখন মূলত চামড়া দিয়ে বল তৈরি করা হতো। গ্রীক এবং রোমান সম্প্রদায় বল
দিয়ে অনেক রকম খেলা খেললেও সেই খেলার মধ্যে একটি ছিল পা দিয়ে খেলা। যেটিকে
ধারণা করা হচ্ছে ফুটবল খেলা।
ফুটবল খেলার জন্ম কত সালে?
ফুটবল খেলার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯ দশকের মাঝামাঝি সময় নির্দিষ্ট করে
বললে ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ডের আধুনিক ফুটবল খেলার উদ্ভব ঘটে।যদিও খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০
সালের দিকে রোমান সম্প্রদায় পা ফুটবল খেলতে বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়।
ফুটবল খেলার নিয়ম?
ফুটবল খেলার নিয়ম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ কৃত। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর
পরিবর্তন হয়েছে তবে বিশেষ কিছু বিষয় পরিবর্তিত হয়নি। প্রথমত একটি দলে ১১ জন
খেলোয়াড় খেলবে অর্থাৎ দুইটি দলে ২২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবে। অতিরিক্ত ৫ জন
খেলোয়াড় মাঠে পরিবর্তন করা যাবে বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী।
স্কোয়াডে প্লেয়ার থাকতে পারবে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। এটি
মূলত ২৮ থেকে ৩২ জন হয়ে থাকে। খেলার সময়সীমা ৯০ মিনিট হয়ে থাকে। যদি সেটা কোন
টুর্নামেন্টের নক আউট পর্ব হয়ে থাকে এবং ৯০ মিনিটের খেলা ড্র থাকে তাহলে
অতিরিক্ত ১৫ মিনিট করে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি তারপরেও ম্যাচ ড্র থাকে
তাহলে ট্রাইবেকারের মাধ্যমে জয়ী দল নির্ধারণ করা হয়।
ট্রাইবেকারের মধ্যে কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমত উভয় দলকে পাঁচটি করে পেনাল্টি কিক
নিতে দেওয়া হয়। সেখানে উভয় দল সমান হলে আবার তিনটি করে পেনাল্টি কিক নিতে
দেওয়া হয়। সেখানেও যদি উভয় দল সমান হয় তারপর একটি একটি করে উভয় দলকে সুযোগ
দেওয়া হয়। এভাবে এগারো জন খেলোয়াড় উভয় ই সেই সুযোগ পায়(বর্তমান ফিফার নিয়ম
অনুযায়ী)।
ফুটবল খেলায় বর্তমানে চারজন রেফারি থাকেন। তিনজন মাঠে খেলা পরিচালনা করেন এবং
একজন ম্যাচ রেফারি হিসাবে থাকেন। এবং VAR (video assistant referee) দুইজন থেকে
পাঁচজন থাকে।মাঠে তিন জনের মধ্যে দুই জন লাইচম্যান এবং একজন মেন রেফারি হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন।ফুটবল খেলায় হ্যান্ডবলের নিয়ম।
ফুটবল খেলায় হ্যান্ডবলের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে এবং এখানে ভিন্ন ভিন্ন কিছু
নিয়মে সেটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদি কোন প্লেয়ারের হাতে বল লাগে তাহলে সেটি
হ্যান্ডবল। কিন্তু যদি ডি বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগে তখন বেশ কিছু বিষয় রেফারিরা
আমলে নেন। প্রথমত হাতে বল লাগার সময় প্লেয়ার কিভাবে ছিলেন অর্থাৎ সে কি বলের
দিকে তাকিয়ে ছিল নাকি অন্য কোন দিকে তাকিয়ে ছিল।
আরেকটি বিষয় রেফারিরা লক্ষ্য করেন সেটি হল বলটি কতটা মারাত্মক ছিল। অর্থাৎ যদি
বলটি প্রতিপক্ষ প্লেয়ারের হাতে তাহলে বল্টের গন্তব্য কোথায় ছিল। বর্তমানে
হ্যান্ডবলের ক্ষেত্রে রেফারিরা অফসাইড ও চেক করে থাকেন।সবদিক বিবেচনায় যদি
রেফারীর মনে তখন ঐ রেফারি হ্যান্ডবলের জন্য বাঁশি বাজান। যদি সেটা ডিবক্সের মধ্যে
হয় তাহলে প্রতিপক্ষ টিমকে একটি পেনাল্টি দেওয়া হয়।
মিনিবার বা ফুটসাল ফুটবল খেলার নিয়মাবলী
বর্তমানে মিনিবার বা ফুটসাল ফুটবল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ মিনিবার ফুটবল
খেলার জন্য বড় মাঠের প্রয়োজন হয় না। শহরের ছোট ছোট ইনডোরের মধ্যেই এই খেলার
আয়োজন করা যায়। মিনিবার হল মূলত ফুটবলের ছোট সংস্করণ।এই খেলায় প্রত্যেক টিমে
একজন গোলকিপার এবং চারজন প্লেয়ার সর্বমোট ৫ জন থাকে।
বদলি প্লেয়ার এর ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই সর্বোচ্চ ১২ জন পর্যন্ত
খেলোয়াড় ব্যবহার করতে পারবে। মিনিবার ফুটবলে ফুটবলের পরিমাণ সাধারণ ফুটবল থেকে
ছোট হয়ে থাকে। এবং মিনিবার ফুটবলের ২০ মিনিট করে দুই অর্ধ মিলিয়ে ৪০ মিনিট খেলা
হয়ে থাকে। মিনিবাস ফুটবলের পেনাল্টি কিক পোষ্টের ৬ মিটার দূর থেকে করা
হয়।ফুটসাল খেলায় ভিন্ন কিছু নিয়ম রয়েছে।
যদি এক অর্ধে কোন দল ছয়টি বা তার বেশি ফাউল করে তাহলে প্রতিপক্ষ টিমকে একটি
পেনাল্টি কিক দেওয়া হয়। ফুটসাল ফুটবলে সাইট লাইনের বাইরে যদি বল চলে যায় তাহলে
বল ত্রুইন এর পরিবর্তে কি কিনের মাধ্যমে শুরু করা হয় অর্থাৎ পা দিয়ে শর্ট করে
শুরু করা হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url