চালতার চাটনি উপাদান - চালতার উপকারিতা
চালতার
উপকারিতা অপরিসীম। আজকে আমরা আলোচনা করব চালতার চাটনি উপাদান নিয়ে। এছাড়াও চালতার
উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চালতার অনেক উপকারিতা রয়েছে তাহলে
চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই ।
চালতা ফল মূলত বর্ষাকালে পাওয়া যায়। বর্ষার শেষ দিকে চালতা ফল পাকতে শুরু করে।
ফলটি টক মিষ্টি হওয়ায় অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে।
ভূমিকা: চালতা শুধুমাত্র খাওয়া হয় এমনটি নয় এটি
ঔষধি ফল হিসেবেও
কাজ করে। এছাড়াও চালতার আচার ছোট বড় সব বয়সী মানুষের কাছে একটি প্রিয় খাবার।
চালতার আচার খালি মুখে খাওয়া যায় কেউ কেউ আবার এটিকে ভাতের সঙ্গেও খেয়ে
থাকেন।চালতার চাটনি উপাদান অনেকের কাছে প্রিয়।
চালতার উপকারিতা
চালতা খেতে শুধুমাত্র মুখরোচক সেরকম না চালতার
উপকারিতা ও
রয়েছে। চালতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল,বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন।
তাই চালতা খেলে মানব দেহের যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তেমনি পুষ্টি পূরণে
রাখে বিশেষ ভূমিকা।চালতার চাটনি উপাদান ছোটদের কাছে খুব প্রিয়।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
- চালতা ফলে রয়েছে ভিটামিন-সি যা লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- চালতা ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ডায়রিয়া ও বদ হজমে চালতা বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
- চালতা ফল খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ইউট্রাস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কারণ এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
- চালতা গাছের ছাল গুড়া গুড়া খেলে কফ ও সর্দি ভালো হয়।
চালতার চাটনি উপাদান
চালতার চাটনি উপাদান নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়, ত্রুটিমুক্ত সম্পন্ন
পরিপক্ক চালতা নির্বাচন করতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরায়
কাটতে হবে। তারপর প্রতি ১০ কেজি টুকরা সাথে এক কেজি লবণ ও ৫০ গ্রাম হলুদ মিশিয়ে
৫-৬ ঘন্টা রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর ১৫% লবণের দ্রবণ তৈরি করতে হবে।
অর্থাৎ ৮৫০ সিসি পানিতে ১৫০ গ্রাম লবণ মিশিয়ে এই দ্রবন তৈরি করতে হবে। পরিষ্কার
জীবাণুমুক্ত প্লাস্টিকের ড্রামে চালতা তৈরিকৃত টুকরাগুলো সুন্দরভাবে রেখে সেই লবণ
দ্রবণ এমনভাবে যোগ করা হয় যাতে টুকরোগুলো লবণ দ্রবণে ডুবে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বিটরুট জুস এর উপকারিতা
চালতার চাটনি উপাদান এর জন্য আরো যা করতে হয়, এভাবে অনেকদিন পর্যন্ত চালতা
সংরক্ষণ করে রাখা যায়। চাটনি তৈরীর সময় টুকরোগুলো যৌবন থেকে বের করে পানিতে এমন
ভাবে ধোয়া হয় যাতে টুকরোগুলোতে সামান্য লবণাক্ততা থাকে। চাঁটনী তৈরিতে
টুকরোগুলো হালকা ভাবে পেষণ করে নেওয়া হয়।
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
চালতা | ৮ কেজি |
চিনি | ১৫-১৬ কেজি |
লবণ | ১০০-১২০ গ্রাম |
মরিচের গুঁড়া | ৬০-৮০ গ্রাম |
রসুন বাটা | ৬০ গ্রাম |
পিঁয়াজ বাটা | ১২০ গ্রাম |
আদা বাটা | ১২০ গ্রাম |
অ্যাসিটিক অ্যাসিড | ৭০-৮০ সিসি |
কেএমএস | ১০ গ্রাম |
জয়ত্রী গুঁড়া | ২০ গ্রাম |
পোস্ত দানা বাটা | ৫০ গ্রাম |
জিরার গুড়া | ১০ গ্রাম |
পানি | পরিমাণ মতো |
চালতা | ৮ কেজি |
চালতার প্যাকেজিং পদ্ধতি
চালতার চাটনি উপাদান প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত
জরুরি। এখন আমরা চালতার প্যাকেজিং পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
- চালতাটাকে পরিষ্কার করে মেপে রাখতে হবে।
- অন্যান্য প্রস্তুতকৃত সব মসলা মেপে তৈরি করে রাখতে হবে।
- অল্প পানিতে কেএমএস গুলিয়ে রাখতে হবে।
- এক কেজি চাল তার সাথে ২ লিটার পানি মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
- চালতার সাথে সব মসলা ও লবণ যোগ করে হালকা ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং তারপর চিনি যোগ করে নেড়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে এবং অনবরত নাড়া সহ তাপ দিতে হবে।
- মিশ্রণ যখন আঠালো হবে তখন তাপ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
- অ্যাসিটিক অ্যাসিড ও কেএমএস দ্রবণ যোগ করতে হবে।
- ছোট ছোট পলিথিন ব্যাগে একই পরিমাণে ভরে পলিথিন সিলিং মেশিন দিয়ে সিল করতে হবে। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত শুষ্ক বোতলেও চাটনি ভরা যায় তবে বোতলে ভরে তার ওপর মম যোগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সফেদা ফলে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়?
চালতার ক্ষতিকর দিক
চালতার চাটনি উপাদান বেশি পরিমানে খাওয়া ঠিক নয়।চালতার
অপকারিতা কিংবা
চালতার
ক্ষতিকর দিক
খুবই সামান্য। আসুন সেগুলো জেনে নিই।
- চালতা একটি টক ফল তাই এটি বেশি খাওয়া ঠিক না। চালতা বেশি পরিমাণে খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে চালতা খেলে হতে পারে শ্বাসকষ্ট ও চুলকানি।
- চালতাই থাকা কিছু উপাদান এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
চালতা অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা খুব পছন্দ করি বিশেষ করে
চালতার চাটনি উপাদান। সাথে রয়েছে চালতার অনেক উপকারিতা। যেহেতু চালটা বছরের কিছু
সময় পাওয়া যায় তাই আমাদের প্রত্যেকের এটি খাওয়া উচিত।
পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকারে আসে তাহলে শেয়ার করে আপনার
প্রিয়জনদের জানিয়ে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url