মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাচাঁর উপায় - মাথার ত্বকের সংক্রমণ কি
বর্তমান সময়ে মানুষের একটি সুপরিচিত সমস্যা হল মাথার চুল পড়ে যাওয়া।
প্রতিনিয়ত আমরা কেউ না কেউ এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
আমাদের চারপাশেই
মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই সেটা
জানিনা। তবে আমাদের সকলেরই
জেনে রাখা উচিত
মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।
চুল পড়া একটি সুপরিচিত এবং বড় সমস্যা হলেও আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে
আপনি মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে পারবেন। এজন্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
ভুমিকা
মাথার চুল পরা, চুল উঠে যাওয়া বা পাতলা হবে যাওয়া নিয়ে বর্তমানে
মানুষের চিন্তার
শেষ নেই। বর্তমানে ছেলে মেয়ে উভয়েই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দৈনিক ৫০ থেকে ১০০
টি চুল পরা বৈজ্ঞানিক দিক থেকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।কিন্তু চুল পরার পরে
নতুন চুল না গোজালে মাথার বিভিন্ন জাইগায় বা সম্পূর্ণ মাথাই তাক দেখা যায়।
আসুন তাহলে আমরা জানি মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে এবং
কিভাবে আমরা আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে নিস্তার পেতে পারি।
মাথার চুল পড়ে যাওয়ার মূল কারণ গুলো
মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার আগে আসুন জেনে নেই
কি কি কারণে আমাদের মাথার চুল পড়ে যায়।আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়ার অনেক গুলা
কারণ রয়েছে। বেশিরভাগ কারণে আমরা সকলে জানি, কিন্তু জানার পরেও আমরা সেই কাজই
বারবার করে থাকি।
আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের মাথার চুলগুলো পড়ে যাওয়ার এই সকল কারণগুলো থেকে
নিজেদের বিরত রাখা। আমাদের সকলের উচিৎ আমাদের মাথার চুল পরে যাওয়ার কারণগুলো
সম্পর্কে এবং মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় গুলো সম্পর্কে
ভালভাবে জানা।
তবেই আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারব। আর তার সাথে নিয়ম
গুলো মেনে চলতে পারবো এবং আমরা আমাদের চুল পরাটাকেও প্রতিরোধ করতে পারবো। তাহলে
আসুন জেনে নেওয়া যাক মাথার চুল পড়ার কিছু মূল কারণঃ
- সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন না নেওয়া।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস।
- চুলের জন্য উপযোগী পণ্য ব্যবহার না করা।
- অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাঁধা।
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না জেনেই মেডিসিন ইউজ করা ।
- ভেজা অবস্থায় চুলের চিরুনি ব্যবহার করা।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ।
- অতিরিক্ত রাত জাগা এবং পরিমিত পরিমাণে না ঘুমানো।
- মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখা।
আমাদের সকলেরই উচিত উপরোক্ত কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা এবং এগুলো
থেকে বিরত থাকা। এই সকল কারণগুলো থেকে আমরা যদি বিরত থাকতে পারি তাহলে আমরা
আমাদের মাথার চুল পড়া থেকে অনেকটাই নিস্তার পেতে পারবো
আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে
নিলাম আমাদের মাথার চুল পরে যাওয়ার কিছু মুল কারণ গুলো সম্পর্কে।
আপনার ডায়েট কিভাবে আপনার চুল এর ক্ষতি করে
আমাদের চুল এর ৯৭ ভাগ প্রটিন এবং ৩ ভাগ পানি ।চুল এবং চুলের ত্বকের
সুস্বাস্থ্য বজাই রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের ডায়েট এবং
পুষ্টি ।তাই আসুন আমরা এখন জানি কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট অনুসরণ করে আমরা
আমাদের চুলের পরে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি।
আইরন, জিংক, বায়োটিন এবং প্রোটিনের মত পুষ্টি উপাদান আমাদের চুলকে
স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে এই সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি
দেখা দিলে ধীরে ধীরে আমাদের চুলগুলো পাতলা করে চুলের ক্ষতি করতে পারে।
চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে এই সকল আয়রন, জিংক, বায়োটিন এবং প্রোটিন এর কোন
বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের এমন একটি খাদ্যাভ্যাস এর ব্যবহার করতে হবে যাতে আমাদের
শরীরে এই সকল পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে।আমাদের চুলের জন্য আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ওমেগা ৩ ।
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে যেন আয়রন, জিংক বায়োটিন প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি
উপাদান গুলো থাকে এটা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। যেন আমাদের শরীরে এ সকল
উপাদানের ঘাটতি না দেখা যায়। স্বাস্থ্য সম্মত চুলের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত
খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার কোন বিকল্প নেই। এই বিষয়টিতে আমাদের অনেক
গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখা উচিত।
চুলে সঠিক পণ্য ব্যবহার না করলে আমাদের কি কি ক্ষতি হয়
আমরা সাধারণত আমাদের চুলের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি আমাদের
চুলকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সকল প্রসাধনই ব্যবহারের
পূর্বে যাচাই করে দেখিনা যে এই সকল প্রসাধনীর ব্যাবহার আসলেই কি আমাদের চুল এবং
চুলের ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত।
আমরা আমাদের চুলে যে কোন প্রসাধনী ব্যবহারের পূর্বে তা আমাদের চুল এবং চুলের
ত্বকের জন্য সঠিক কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভুল পণ্য
আপনার চুল পড়ে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে কাজ করে। আবার মাঝে মধ্যে সঠিক প্রসাধনী
অতিরিক্ত
ব্যবহার করার
ফলে আমাদের চুলের ক্ষতি হতে পারে।
তাই আমাদের ব্যবহার কৃত প্রসাধনীগুলো কতটুকু পরিমাণ ব্যবহার করলে সেটি আমাদের
চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর সে সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে ।এই সম্পর্কে
না জেনে শুনে কোন রকমের প্রসাধনী আমাদের চুলের ব্যবহার করা অনেক ক্ষতিকর।
আমাদের চুলের পি এইচ মান সাধারণত ৫.৫ হয়ে থাকে। তাই আমাদের চুলের প্রসাধনী
ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই যাচাই করে রাখা উচিত যেন আমাদের ব্যবহারকৃত পণ্যগুলো
আমাদের চুলের ত্বকের পিএইচ মানটাকে ব্যালেন্স করতে পারে।
শ্যাম্পু নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই যাচাই করে রাখা উচিত যেন সে আমাদের শ্যাম্পু
টি সালফেট এবং প্যারাফিন পরিমিত পর্যায়ে ব্যবহার করা আছে কিনা। কারণ শ্যাম্পুতে
অতিরিক্ত ফেনার
তৈরির জন্য সালফেট ব্যবহার করা হয় কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে সালফেট আমাদের চুলের
ত্বকের জন্য ক্ষতিকর
তাই আমাদের যাচাই করে নিতে হবে যেন আমাদের শ্যাম্পুতে সালফেটের পরিমাণ অতিরিক্ত
না হয়।এছাড়াও আমাদের চুলে শ্যাম্পুর পরে অবশ্যই একটি কন্ডিশনার ব্যবহার করা
উচিৎ। কারণ শ্যাম্পু ব্যবহারের পর আমাদের চুল অনেকটা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই
শ্যাম্পু ব্যাবহার করার পরে মাথাই কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা সঠিক
মাত্রায় ফিরিয়ে আনে।
কিন্তু এই কন্ডিশনার নির্বাচনের সময় আমাদের শ্যাম্পু বাছাই মতই সর্তক থাকতে
হবে।এছাড়াও আমাদের চুলের সকল ব্যবহারকৃত প্রসাধনই যেন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
তৈরি হয় সে বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে
বাঁচার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো আমরা মাথাই যেসকল প্রসাধনীগুলো
ব্যাবহার করে থাকি সেগুলো যেনো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।আমরা অনেক সময়
আমাদের চুলে বিভিন্ন রকমের কালার ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু এ সকল কালার গুলা সাধারণত আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হয়ে থাকে। বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থায়ী কালার গুলা আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। সে
ক্ষেত্রে অস্থায়ী বা আধা স্থায়ী যে সকল চুলের কালার সময়ের সাথে সাথে ধুয়ে যায়
সেই কালার গুলা তুলনামূলক কম ক্ষতিকর এ বিষয়টিতেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
আমাদের চুল এ ক্ষতিকর UV রশ্মি এর প্রভাব
যেহেতু আমরা এখন জানছি আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে,
সে ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আমাদের জেনে রাখতেই হবে কি কি জিনিস আমাদের চুলের জন্য
অনেক ক্ষতিকর। আমাদের চুলের জন্য আরেকটি
ক্ষতিকারক জিনিস
হলো ইউভি রশ্মি। যাকে আমরা অতিবেগুনি রশ্মি হিসেবেও জেনে থাকি।
অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের মানুষের একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অতিরিক্ত
পরিমাণে ইউভি রশ্মি ।প্রতিবছর গরমের মৌসুমে অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতা বিপজ্জনক
মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এই অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের মারাত্মক পরিমাণ ক্ষতি
করে যার কারণে আমাদের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায় ।
তার সাথে এই অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে তাই আমাদের চুলকে রক্ষা
করতে এই অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের চুলকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এই
অতি বেগুনি রশ্মির মাত্রাটি দিনের একেক সময় একেক রকম হয়ে থাকে। সাধারণত দুপুর
বারোটা থেকে দুইটার মধ্যে এই অতি বেগুনি রশ্মির মাত্রাটি সর্বাধিক হয়ে থাকে।
সেজন্য আমাদের যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে এই সময় আমাদের চুলটাকে এই ডিরেক্ট
অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত রাখতে হবে।
মাথার ত্বকের সংক্রমণ কি
অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম এবং ধুলাবালি জমে গেলে আমাদের মাথার ত্বকে অনেক সময়
ফাঙ্গাস ও ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে ।এই ছত্রাকে সংক্রমণ আমাদের মাথার
ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে যেমনঃ মাথায় চুলকানি হতে পারে,
মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া হতে পারে,অনেক সময়
মাথায় ব্যথা
এবং ফুসকুড়ি হওয়া সম্ভাবনাও থেকে যায়।
আমাদের মাথাই এইসকল সংক্রমণ আমাদের মাথার চুল পরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাড়াতে
পারে।তাই আমাদের এই ফাঙ্গাস ও ছত্রাক এর সংক্রামণ এর হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের
মাথার তককে সব সময় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।
আর যদি আমাদের মাথার ত্বকে এই সংক্রামণ হয়ে যাই তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসক এর
পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই পরামর্শ আনুসরণ করে চলতে হবে।পরিশেষে বলা যেতেই পারে যে
আমাদের চুলকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখাটা পুরোটাই আমাদের হাতে ।
আরো পড়ুনঃকি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে
চুল হলো আমাদের অনেক মূল্যবান একটি অংশ ।এর যত্ন নেয়া আমাদেরই কর্তব্য।চুলের ঠিক
মতন যত্ন নিতে আমাদের উপরের পরামর্শ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে।
মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায়
আমাদের মাথার চুল পরে যাওয়ার কারণ এবং মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। আসুন দেরি না করে জেনে নিই মাথার চুল পড়ে যাওয়া
থেকে বাঁচার উপায়ঃ
- একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে চলতে হবে।
- চুলে ব্যাবহারের জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
- অতিরিক্ত এউভি রশ্মি থেকে চুল কে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
- বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে।।
- পরিমিত পরিমানে ঘুম দিতে হবে।
- যেকোনো ঔষধ ব্যাবহার এর পূর্বে তার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে নাকি সেইটা জেনে নিতে হবে।
- চুলের ত্বককে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- সব সময়ই চেষ্টা করতে হবে মানসিক চাপমুক্ত থাকার।
- আমরা এতক্ষণ জানছিলাম আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় গুলো।
আরো পড়ুনঃছেলেদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম
আশা করি উপরে উল্লেখিত মাথার চুল পরে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় গুলো আনুসরণ করলে
আপনারা আপনাদের মাথার চুল
সুস্থ রাখতে
সক্ষম হবেন এবং আমাদের পরামর্শ থেকে উপকৃত হবেন।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানিয়েছি মাথার চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার
উপায় এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ কি সেই সম্পর্কে এছাড়াও মাথার চুলের বিষয়ে আরো
বিস্তারিত জানিয়েছি। যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে
বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে নিয়মিত
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন । ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url