ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি - ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ঠিকানা
আমাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন সমস্যা রয়েছে। আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য
আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই তবে বর্তমান বাজারে অনেক নিম্নমানের ঔষধ পাওয়া যায়,
এজন্য অনেকের প্রশ্ন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি এবং ঔষধ প্রশাসনের ঠিকানা
কি? আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি এ সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আসলে ওষুধের যাবতীয় বিষয়াদি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকেই তদারকি করা হয়। আসুন
কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে ।
ভূমিকা
বাজারে যে নিম্নমানের ঔষধ গুলো কিংবা নকল ঔষধ গুলো পাওয়া যায় সেগুলো ঔষধ
প্রশাসন অধিদপ্তরের চোখে ফাঁকি দিয়ে বাজারে বিক্রয় করা হয়। তবে এই দায়ভার
ঔষধ-প্রশাসন অধিদপ্তর এড়িয়ে যেতে পারে না।
যেহেতু তাদের মূল দায়িত্ব হলো ঔষধ এর ক্রয় বিক্রয় থেকে শুরু করে উৎপাদন এবং
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। আজকে আমি আপনাকে জানাবো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি
এবং ড্রাগ লাইসেন্স মালিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাবনা
ঔষধ প্রত্যেক মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি
সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তার আগে চলুন জেনে নেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাবনা
সম্পর্কে কিছু তথ্য।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পাবনা জেলা অফিস দেশের অন্যান্য জেলার মতোই স্থানীয়
পর্যায়ে অর্থাৎ জেলার মধ্যেই ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ঔষধ উৎপাদন রোধ, এবং
পশুদের ফার্মেসি গুলোর লাইসেন্স প্রদান সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
পাবনার ঔষধ প্রশাসন অফিস সহ স্থানীয় ফার্মেসী, ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং
স্বাস্থ্যসেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সংযুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রম
পরিচালনা করে আসতে। মূলত অবৈধ এবং নিম্নমানের ঔষধ প্রতিরোধ, ঔষধের নিবন্ধন ও
লাইসেন্স প্রদান, মান নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির
কাজ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাবনা করে থাকেন।
আমি আপনাকে জানালাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাবনা জেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য। একটু
পরে আমরা জানবো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে।
ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক এর কাজ কি
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি এটি জানার আগে চলুন আরেকটি বিষয় জেনে নেই।
এখন আমরা জানবো ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক এর কাজ কি সে সম্পর্কে।ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক(Drug
Inspector) একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি ঔষদ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে কাজ করে
থাকেন। ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক এর কাজ সম্পর্কে আসন আলোচনা করি।
ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বগুলো হলোঃ
- ফার্মেসিগুলোর লাইসেন্স রয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করায় ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব।
- লাইসেন্স নবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করাও ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
- বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা।
- ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং নিম্নমানের ঔষধ শনাক্ত করে সেগুলোকে বাজার থেকে অপসারণ করা।
- বাজারে নিষিদ্ধ অথবা নিম্নমানের ঔষধ শনাক্ত করে তা বাজেয়াপ্ত করা।
- এবং এ ধরনের কাজ যারা করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- ঔষধ উৎপাদনকারী কারখানাগুলো পরিদর্শন করে সেগুলোতে ঔষধের গুণগত মান নিশ্চিত করা।
- উৎপাদন প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যকর ও বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা ভালোভাবে তদারকি করা।
- ঔষধ আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- আদালতে মামলা দায়ের এবং বিচারিক কার্যক্রমে সহায়তা করা।
- ঔষধ ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- ফার্মেসি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক নিয়মকানুন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করা।
এগুলোই মূলত ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক এর কাজ। একটু পরে আমরা জানবো ওষুধ প্রশাসন
অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ঠিকানা
আপনারা অনেকেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চান। অনেকেরই এটি
জানার আগ্রহ রয়েছে আর আগ্রহ থাকাটাও অস্বাভাবিক না। আমরা যে ওষুধগুলো খেয়ে
নিজেরা সুস্থ থাকি সেগুলো কোথা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় এটি অনেকেই জানতে চান।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেই ওষুধ
প্রশাসন অধিদপ্তরের ঠিকানা সম্পর্কে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (Directorate General
Of Drug administration- DGDA) এর প্রধান কার্যালয়ে ঠিকানা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর,
সাভার বিকেএসপি স্টেডিয়ামের বিপরীতে,
নতুন বাজার রোড, মহাখালী,
ঢাকা - ১২১২ ,বাংলাদেশ।
ফোন নাম্বারঃ +8802-9880803
ফ্যাক্সঃ +8802-9880854
Email: dgda@dgda.gov.bd
website: www.dgda.gov.bd
আশা করি আমি আপনাকে জানাতে পেরেছি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঠিকানা সম্পর্কে।
আরেকটু পরেই আমরা জানবো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ড্রাগ লাইসেন্স
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া
যা ওষুধ উৎপাদনে বিক্রয় এবং বিতরণের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য
বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ ড্রাগ লাইসেন্স এর মাধ্যমে ওষুধের মান ,ওষুধের
নিরাপত্তা, এবং ঔষধের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়।
একটু পরে আমরা জানবো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি তবে এখন আমি আপনাকে জানাবো
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর ড্রাগ লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত।
ড্রাগ লাইসেন্স মূলত দুই ধরনেরঃ
- ঔষধ উৎপাদনের লাইসেন্স (Manufacturing License)
- ঔষধ বিক্রির লাইসেন্স (Wholesale Licence)
ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। এগুলো হলোঃ
আবেদনপত্র পূরণঃ
- ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হয়।
- ফর্মে প্রতিষ্ঠানের তথ্য, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, মালিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিবরণী দিতে হয়।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমাঃ
- ব্যবসার নিবন্ধন সনদ (trade licence)
- ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ( TIN)
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট।
- প্রয়োজনীয় ফার্মাসিস্টের ডিগ্রি ।
- প্রতিষ্ঠানের স্থান সম্পর্কে তথ্য।
- এরপর ঔষধ প্রশাসনের দপ্তর কর্তৃক একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের স্থান পরিদর্শন করবেন। তিনি যাচাই-বাছাই করে দেখবেন প্রতিষ্ঠানটি আইন অনুসারে ঔষধ বিক্রয় বা উৎপাদনের উপযোগী কিনা।
ফি জমাঃ
- আবেদন প্রক্রিয়া শেষে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
লাইসেন্স ইস্যুঃ
- পরিদর্শন এবং নথির যাচাই-বাছাই পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এটি মূলত সারা জীবনের জন্য নয় বরং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ থাকে সেই সময় শেষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আবার নবায়ন করে নিতে হয়।
আশা করি আমি আপনাকে পরিষ্কারভাবে জানাইতে পেরেছি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ড্রাগ
লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত। আর দেরি না এখন আমরা জেনে নিব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর
এর কাজ কি সেই সম্পর্কে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) হলো বাংলাদেশের ঔষধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম
নিয়ন্ত্রণকারী একটি সংস্থা। এর প্রধান দায়িত্ব হল দেশের ঔষধ শিল্প ও
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ করা। আসুন দেরি না করে আপনাকে জানাই
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ঔষধ প্রসারণ অধিদপ্তর মূলত জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করে এবং ঔষধের
সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এছাড়াও বিতরণ নিশ্চিত করার কাজ করে থাকে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর প্রধান কাজ গুলো হলোঃ
- ঔষধ উৎপাদন, বিক্রয়, আমদানি ও রপ্তানি এবং বিতরণের জন্য নিবন্ধন ও লাইসেন্স ইস্যু করে থাকেন।
- নতুন ঔষধের অনুমতি দেওয়া এবং সেগুলোর কার্যকারিতা নিরাপত্তা সহ যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করে থাকেন।
- বাজারে প্রচলিত ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
- নিম্নমানের ঔষধ, ভেজালজাত ঔষধ অথবা অবৈধ ঔষধ শনাক্ত এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- ঔষধ উৎপাদনকারী কারখানা, ফার্মেসি কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সেগুলোতে পণ্যের সঠিক মান নিশ্চিত করা।
- Good Manufacturing Practice (GMP) অনুযায়ী ঔষধ উৎপাদন হচ্ছে কিনা সেটি ভালোভাবে তদারকি করা।
- প্রয়োজনীয় ঔষধের সঠিক দাম নির্ধারণ এবং ঔষধের মজুদ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা ওষুধ প্রশাসনের কাজের মধ্যে পড়ে।
- অবৈধ ও ভেজাল ঔষধের উৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয় রোধে বাজারে সব সময় অভিযান পরিচালনা করা।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মান বজায় রাখা।
- নতুন ঔষধ এবং টিকা গবেষণা, পরীক্ষা এবং অনুমোদনের ব্যবস্থা করা।
- সঠিক ঔষধ ব্যবহারের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঔষধ সংক্রান্ত নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করা।
এছাড়াও চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন ডায়াগনস্টিক মেশিন, চিকিৎসা উপকরণ এবং কসমেটিক্স
এর মান নিয়ন্ত্রণ করা। ঔষধ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করাও ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তর এর কাজ এর মধ্যে পড়ে। ঔষধ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন ও লঙ্ঘনকারীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ। ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তর এর কাজ কি আশা করি এখন আপনি সেটা বুঝতে পেরেছেন।
ড্রাগ লাইসেন্স মালিকানা পরিবর্তন
ওষুধের ড্রাগ লাইসেন্স মালিকানা পরিবর্তন এর জন্য একটি প্রক্রিয়া বা নিয়ম-কানুন
রয়েছে। এই নিয়ম কানুন গুলো মেনেই আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্স মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে। একটু আগে আমরা জেনেছি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি সে
সম্পর্কে।
এখন আমরা জানবো ড্রাগ লাইসেন্স মালিকানা পরিবর্তন কিভাবে করতে হয় এবং কি কি ধাপে
করতে হয় সে সম্পর্কে।মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিকট একটি
ফরম পূরণ করতে হবে ফর্মে নতুন মালিকের নাম ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত
উল্লেখ করতে হবে।
- বর্তমান এবং নতুন মালিক উভয়ের সম্মতিপত্র (Consent Letter) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।
- এছাড়াও মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নিচের উল্লেখিত নীতিগুলো জমা দিতে হবেঃ
- বর্তমান ড্রাগ লাইসেন্স এর কপি।
- ব্যবসা নিবন্ধন সনদ (trade licence)
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট (বর্তমান মালিকের এবং পরবর্তী মালিকের)
- ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (Tin)
- নতুন মালিকের ব্যাংক হিসেবে তথ্যসমূহ।
- বর্তমান এবং নতুন মালিকের মধ্যে স্থানান্তর সংক্রান্ত চুক্তিপত্র।
- মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রদান।
- ফি জমা দেওয়ার পর এর রিসিপ্ট জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা
- এরপর ঔষধপ্রশাসন অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করবেন যে নতুন মালিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কিনা।
- সমস্ত নথি এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে মালিকানা পরিবর্তনের অনুমোদন প্রদান করা হবে এবং নতুন লাইসেন্স নতুন মালিকের নামে ইস্যু হয়ে যাবে।
- মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গেলে অর্থাৎ নতুন মালিকের নামে ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে গেলে নতুন মালিক আইনগতভাবে বৈধ উপায়ে ওষুধ উৎপাদন এবং ঔষধ বিক্রয়ের অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও আরো কোন তথ্য প্রয়োজন হলে আগে সংশ্লিষ্ট আইনি পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম।
শেষ কথা
আজকে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাজ কি এবং ঔষধ
প্রশাসন অধিদপ্তরের ঠিকানা সহ আরো বিস্তারিত তথ্য। আশা করি তথ্য গুলো জেনে আপনি
উপকৃত হবেন।
যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার
টাইমলাইনে শেয়ার করে বাকিদেরও দেখার সুযোগ করে দিন। এবং এরকম গুরুত্বপূর্ণ নতুন
নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url