পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় - পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
সবাই চায় যেন আমাদের হাত-পা অনেক সুন্দর দেখায়। তবে অনেক সময় দুর্ঘটনায় কিংবা
সংক্রমণের কারণে পায়ের নখের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আমার এই আর্টিকেলটি আপনি
মনোযোগ সহকারে পড়লে
জানতে পারবেন
পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে এবং পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
সম্পর্কে।
শুধুমাত্র চেহারা নয় হাত, পা এবং হাত-পায়ের নখের যত্ন আমাদের সবারই নেওয়া
উচিত।
হাত-পায়ের নখের উপর সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে। আজকে আমি আপনাকে জানাবো
পায়ের নখ মরে গেলে কি করনীয় সেই সম্পর্কে।
ভূমিকা
অনেকেই হাত পায়ের নখের অনেক যত্ন নিয়ে থাকেন। তারপরেও অনেক সময় কোন দুর্ঘটনায়
কিংবা সংক্রমণের কারণে পায়ের নখের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এরকম সমস্যা হলে বিচলিত
হওয়ার কোন কারণ নেই। আজকে আমি আপনাকে জানাবো ঘরোয়া উপায়ে পায়ের নখের
যত্ন সম্পর্কে।
তাই চলুন দেরি না করে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়ে ফেলি।
নখ পরিষ্কার করার উপায়
নিজেকে আকর্ষণীয় দেখাবে এমনটা সবারই চাওয়া তবে শুধু চেহারা সুন্দর হলেই তাকে
সম্পূর্ণরূপে সুন্দর বলা যাবে না। নখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। খাওয়ার সময় কিংবা
বাহিরে চলাফেরার সময় হাত পায়ের নখে অনেক রকম ময়লা , ধুলাবালি প্রবেশ করে।
এজন্য নিয়মিত নখ পরিষ্কার রাখা জরুরি।
যদি হাতের নখে ময়লা আবর্জনা ঢুকে থাকে এবং খাওয়ার সময় সেগুলি পেটে যায় তাহলে
পেটের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও লোক সমাজে অপরিষ্কার লোক সকলেই খারাপ চোখে দেখে।
পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি
সে সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানব। এখন আমরা জানব নখ পরিস্কার করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
১) নখ কেটে নেওয়া: নখ পরিস্কার রাখার জন্য কয়েকদিন পর পর নখ কাটা
অত্যন্ত জরুরী। কারণ নখ বড় হলে নখের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ঢুকে থাকার সম্ভাবনা
রয়েছে। এজন্য নখ ছোট রাখা জরুরী।
২) সাবান পানি ব্যবহার: খাবার খাওয়ার আগে,পরে এবং বাহিরে থেকে আসার পর
সাবান পানি দিয়ে নখ এর চারপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। বর্তমান বাজারে অনেক
রকম হ্যান্ডওয়াশ পাওয়া যায় চাইলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে নখের চারপাশ
কালোভাবে কসলিয়ে নিয়ে নেওয়া জরুরী
৩) ব্রাশ ব্যবহার করা: নখের চারপাশে ময়লা জমে থাকার চান্স অনেক বেশি।
এজন্য নখের চারিদিকে ভালোভাবে কচলিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত তবে যদি হাত দিয়ে
ভালোভাবে পরিষ্কার করা না যায় সে ক্ষেত্রে নরম ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে
করে নখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়।
৪) লেবু এবং শ্যাম্পু ব্যবহার: নখের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য লেবু এবং
শ্যাম্পু একসঙ্গে নখে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন। পাঁচ সাত মিনিট পর হালকা ঘষে পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে নখ অনেক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়ে থাকে।
৫) নখে মশ্চারাইজার ব্যবহার: নখ এবং নখের চারপাশে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। মশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে ত্বক অনুখের স্বাস্থ্য
ঠিক থাকে।
পায়ের নখ বড় করার উপায়
পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি এবং পায়ের নখ বড় করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই
জানতে চান। পায়ের নখ বড় করার বেশ কয়েকটি উপায় আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার
করব। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
১) সঠিক পুষ্টি: পায়ের নখ বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করার জন্য
ভিটামিন এবং
মিনারের সম্পৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আরো পরিস্কার ভাবে বলতে গেলে ভিটামিন বি৭ ,
ভিটামিন-ই, জিংক এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, শাকসবজি, মাংস, বাদাম এসব
খাবার খাওয়া ভালো।
২) ময়েশ্চারাইজ করা: পায়ের নখ এবং ত্বক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করা হলে
তার শুষ্কতা এবং ভাঙ্গন রোধ করে। নখের আশেপাশে নারিকেল তেল অলিভ অয়েল বা
ভিটামিন ই তেল
ব্যবহার করলে নখ দ্রুত বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) পানি পান: পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে যার কারনে
পায়ের নখের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকবে এবং পায়ের নখের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি ঘটবে।
৪) নখের যত্ন: পায়ের নখের সঠিক যত্ন নিলে নখের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি ঘটবে।
এজন্য পায়ের নখে নিয়মিত ডিম করুন কিন্তু কোন ভাবেই ছোট করা যাবে না। নখের
প্রান্ত গুলো গোলাকার রাখুন যাতে এগুলো সহজেই ভেঙে না যায়। পায়ের নখ মরে গেলে
কি করণীয় এটি আমরা আরেকটু পর জানব।
৫) নখে মাসাজ করা: পায়ের নখের আশেপাশের ত্বক এবং নখের গোড়া নিয়মিত
মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে যা নখের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। তাই নখ
বড় করার জন্য নখে নিয়মিত মাসাজ করা জরুরী।
৬) নখের সুরক্ষা: আপনার পায়ের নখ কে রক্ষা করতে আপনি নিয়মিত মোজা
ব্যবহার করতে পারেন এবং খুব টাইট জুতা পরা থেকে বিরত থাকুন কারণ নখে চাপ সৃষ্টি
করার কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে এবং নখের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৭) পায়ের ওষুধ ব্যবহার: রসুনের রস পায়ের নখের উপর লাগাতে পারেন কারণ
রসুনে থাকা সেলেনিয়াম নখের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
আশা করি উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করলে আপনার পায়ের নখ বড় করা সহজ হবে।আমরা জানলাম
পায়ের নখ বড় করার উপায় একটু পরে আমরা জানবো পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি এ
সম্পর্কে।
পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
কোন দুর্ঘটনার কারণে যদি পায়ের নখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে পায়ের নখ এর
বৃদ্ধি নিশ্চিত
করার জন্য আপনি কিছু কাজ করতে পারেন। সাধারণত পায়ের নখ গজাতে ৬ থেকে ১২ মাস সময়
লাগে। এই সময়টাকে আগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন।
পায়ের নখ মরে গেলে কি করণীয় এটি জানার আগে আমি আপনাকে জানাবো পায়ের নতুন নখ
গজানোর উপায় সম্পর্কে। উপায় গুলো হলো:-
১) সংক্রমণ রোধ: যদি কোন কারনে নখ পড়ে যাই কিংবা নখে আঘাতপ্রাপ্ত হন
তাহলে সংক্রমণ থেকে আপনার নখ কে রক্ষা করা অনেক জরুরী। এজন্য আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি
নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং প্রয়োজনে এন্টিসেপটিক ব্যবহার করতে পারেন।
২) আক্রান্ত স্থান সুরক্ষা: পায়ের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে নতুন নখ গজানোর
সময় অন্যান্য আঘাত থেকে নখ কে রক্ষা করুন। সব ধরনের টাইট জুতা ব্যবহার এড়িয়ে
চলুন এবং প্রয়োজন হলে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
৩) সুষম খাদ্য গ্রহণ: পায়ের নতুন নখ বাজানোর জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ
অত্যন্ত জরুরী। সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়
বিশেষ করে বায়োটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এগুলো আপনার পায়ের নখ গজানোর
ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
৪) পানি পান: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানির ক্ষেত্রে শরীরে হাইড্রেশন বজায়
রাখে। আর শরীরে সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করলে নখের বৃদ্ধি ও তাড়াতাড়ি ঘটবে।
৫) নখের গোড়া মাসাজ: নিয়মিত পায়ের নখের গোড়ায় হালকা মাসাজ করতে
পারেন। এতে করে পায়ের রক্ত সঞ্চালন পারবে যেটি আপনাকে নতুন নখ গজানোর ক্ষেত্রে
সহায়তা করবে।
৬) সংক্রমণ হলে চিকিৎসা গ্রহণ: যদি কোন কারনে নখে সংক্রমণ হয় অর্থাৎ নখে
পুঁজ কিংবা অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় তবে দ্রুত একজন
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
পায়ের নখ গজানোর উপায় আপনাকে জানিয়ে দিলাম।আশা করি উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো
অনুসরণ করলে দ্রুত আপনার পায়ের নতুন নখ গজাবে। একটু পরে আমরা জানবো পায়ের নখ
মরে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে।
পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়
পায়ের নখের কুনি সমস্যা মূলত ইনগ্রোন টোনেইল (Ingrown Toenail) নামে
পরিচিত। এটি একটি সাধারণ সমস্যা । এই সমস্যার ফলে নখের প্রান্ত ত্বকের ভিতর ঢুকে
যায় এবং এতে করে পায়ে ব্যথা অনুভব হয়। পায়ের নখ মরে গেলে কি করণীয় এটি জানার
পাশাপাশি আমরা এখন জানব পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় সমূহ:-
১) উষ্ণ পানিতে লবন ভেজানো: উষ্ণ পানির সাথে লবণ মিশিয়ে 15 থেকে 17 মিনিট
পায়ের আঙ্গুল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এটি করার ফলে নখের ত্বক নরম থাকবে এবং কুনি
থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।
২) তুলার ব্যবহার: পানিতে ভেজানোর পরে সেখান থেকে পা তুলে তুলা কিংবা গজ
ব্যবহার করে এটি ত্বক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এভাবে করার ফলে নখের সঠিক
বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
৩) অ্যান্টিসেপটিক প্রয়োগ: সংক্রমণ এড়াতে ইনগ্রোন নখের চারিদিকে
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের ফলে নখে সংক্রমণ রোধ করবে।
৪) নরম জুতা পরা: পায়ে এমন জুতা পরিধান করুন যেন আঙ্গুল গুলো সঠিকভাবে
ফিট থাকে এবং কোনরকম চাপ সৃষ্টি না করে। সব ধরনের টাইট জুতা পরা পরিহার করুন।
৫) সঠিকভাবে নখ কাটা: ইনগ্রোন নখ পুনরায় হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য
সঠিকভাবে নখ কাটন। সব সময় চেষ্টা করবেন নখগুলো সোজা করে কাটা। কোনভাবেই গোলাকার
করে কাটবেন না।
৬) এন্টিবায়োটিক ব্যবহার: যদি সংক্রমণ বেশি হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের
সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন ।
এই ধাপগুলো মেনে চললেই পায়ের নখের কুনি সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আপনারা
অনেকক্ষণ ধরেই অপেক্ষা করছেন পায়ের নখ মরে গেলে কি করণীয় এটি জানার জন্য।
পরবর্তী স্টেপে আমরা জানবো পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে।
পায়ের নখ মরে গেলে করণীয়
আঘাতের কারণে কিংবা কোনরকম সংক্রমণ রোগের কারণে পায়ের নখ মরে যেতে পারে। যদি কোন
কারনে পায়ের নখ মরে যায় তবে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। এখন আমি আপনাকে জানাবো
পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় গুলো কি সে সম্পর্কে, চলুন শুরু করা যাক।
১) মরা নখ ফেলে দেওয়া: যদি পায়ের নখ সম্পন্ন মরে যায় তাহলে নিজে থেকেই
নখটি অপসারণ করুন। তবে যদি নখের একটি অংশ মরে যায় তাহলে নিজ থেকে টেনে ফেলার
চেষ্টা করবেন না এতে করে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে।
২) নখ পরিষ্কার রাখা: মরা নখ থাকলে আক্রান্ত জায়গাটির আশেপাশে
পরিষ্কার এবং শুকনো
রাখুন। প্রয়োজনে নিয়মিত অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন যাতে কোন রকম
সংক্রমণ না হয়।
৩) নখে সংক্রমণ প্রতিরোধ: যদি মরা নখের কারণে ত্বকে খোলা অংশ থাকে তবে এটি
ঢেকে রাখুন। কারণ ফলা অংশে সংক্রমণ প্রতিরোধের আশংকা থাকে। চাইলে আপনি ব্যান্ডেজ
দিয়ে বেঁধে রাখতে পারেন।
৪) নতুন নখ গজানোর জন্য সময় দিন: মূলত পায়ে নতুন নখ গজাতে 6 থেকে 12 মাস
সময় লাগে। তাই বিচলিত না হয়ে এ সময় পায়ের নখের সঠিক যত্ন নিন যাতে সঠিকভাবে
নখ গজাইতে পারে।
৫) আরামদায়ক জুতা পরা: পায়ের নখ মরে গেলে এমন কোন জুতা পড়বেন না যাতে
করে পায়ের আঙ্গুলে কোনরকম চাপ সৃষ্টি হয়। চাপ সৃষ্টি হলে নতুন নখ গজাতে সমস্যা
হতে পারে।
৬) নিয়মিত চেক আপ: যদি নতুন নখ এর বৃদ্ধি ঠিকমতো না হয় কিংবা সংক্রমনের
লক্ষণ দেখা যায় তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নতুন নখের স্বাস্থ্য অবশ্যই
আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
৭) পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ: পায়ের নখ গজানোর জন্য আপনার নিয়মিত পুষ্টিকর
খাদ্য খেতে হবে। আপনার শরীর যদি পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে মরা নখ থেকে নতুন
নখ খুব তাড়াতাড়ি গজাবে।
আমি আপনাকে জানালাম পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে। আশা করি এই
পদক্ষেপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার মরা নখে নতুন নখ গজাবে।
নখ শক্ত করার উপায়
নখ শক্ত করার জন্য নখের পুষ্টি নিশ্চিত করা জরুরি। নখ শক্ত মজবুত করার জন্য কিছু
কার্যকরী উপায়
রয়েছে। একটু আগে আমি আপনাকে জানিয়েছি পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি। এখন আমি
আপনাকে জানাবো নখ শক্ত করার উপায় সমূহ
- আপনার নখ শক্ত করার জন্য খাদ্য অভ্যাসে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং মিনারেল সহ জিংক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন-ডিম, শাকসবজি, মাংস, বাদাম, মাছ ইত্যাদি।
- নিয়মিত মাসাজ করতে হবে। নিয়মিত মাসাজ এর ফলে রক্ত চলাচল সঠিক থাকে। এতে করে নখ অনেক শক্তিশালী ও মজবুত হয়।
- নখ শক্ত করার প্রয়োজনে বায়োটিন এবং অন্যান্য ভিটামিন গ্রহণ করতে পারেন যা আপনার নখকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
- এক ধরনের শক্তিশালী করন নেল-পালিশ হয়েছে। যা আপনার নখ শক্তিশালী করার জন্য সাহায্য করবে। এবং নখের ভাঙ্গন রোধ করতে সাহায্য করবে।
- তবে নখের উপর লাগানো কৃত্রিম নখ বা জেল ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো নখকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করতে পারে।
শেষ কথা
মানুষের পায়ের নখ শরীরের একটি
গুরুত্বপূর্ণ
অঙ্গ। এজন্য পায়ের নখ এর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে
আপনি জানতে পেরেছেন পায়ের নখ মরে গেলে করণীয় কি এবং পায়ের নতুন নখ গজানোর
উপায় সম্পর্কে।
যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার
করে দিন এবং এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url