গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস - গণ অধিকার পরিষদ এর মার্কা
আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আপনারা অনেকে গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই জানতে চান গণ অধিকার পরিষদ এর মার্কা কি? আজকে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানাবো।
গণ অধিকার পরিষদ একটি নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলের একটি নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র এবং কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানাবো।
ভূমিকা:
২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নুরুল হক নুর। তারপর থেকেই তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তারপর তিনি দেশের রাজনীতির কথা ভেবে একটি নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম গণ অধিকার পরিষদ। চলুন দেরি না করে এখন আমি আপনাকে গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে জানাবো ।
আরো পড়ুনঃ সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
গণ অধিকার পরিষদ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
গণ অধিকার পরিষদ একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের মূল মন্ত্র হলো জনগণের জন্য কাজ করা। গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস রয়েছে । গণ অধিকার পরিষদ ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আরো পরিস্কার ভাবে বলতে গেলে ২০২১ সালের ২৬ শে অক্টোবর বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পথচলা শুরু করে।
যদিও বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের যাত্রা শুরু হয়েছিল তবে কিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে নিজেরাই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং শেষমেষ দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদিকে নুরুল হক নূর এবং অন্যদিকে রেজা কিবরিয়া । তবে সমর্থনের এদিক দিয়ে নুরুল হক নুর এগিয়েছিলেন ।
গণ অধিকার পরিষদ কার্যালয়
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো গণ অধিকার পরিষদের ও একটি নির্দিষ্ট কার্যালয় রয়েছে। একটু পরেই গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস আমরা জানবো। গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। আরো পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে গণ অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক কার্যালয় ঢাকা পল্টনে অবস্থিত।
আরো পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে গণ অধিকার পরিষদের এখনো পর্যন্ত অফিসের সুনির্দিষ্ট ঠিকানা হলো ডি-৮,পান্থপথ, প্লট ২৮৩, দ্বিতীয় তলা, সেন্ট্রাল প্লাজা, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ। এখানে দলীয় কার্যক্রম থেকে শুরু করে সাংগঠনিক মিটিং এবং দলটির বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। আরেকটু পরে আমরা জানবো গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে।
গণ অধিকার পরিষদ এর মার্কা
গণ অধিকার পরিষদ অনেকদিন আগে থেকেই রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধনের চেষ্টা করে ছিল। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই নিবন্ধন পাচ্ছিল না। যখন আমরা গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস জানব তখন আরো বিস্তারিত জানতে পারবো।
২০২৪ সালের ২ই সেপ্টেম্বর অবশেষে গণ অধিকার পরিষদ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এবং গণ অধিকার পরিষদের মার্কা হিসাবে নির্ধারণ করা হয় ট্রাক। এই ট্রাক মার্কা নিয়ে ই আগামীতে গণধিকার পরিষদ তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাবেন।
গণ অধিকার পরিষদের উদ্দেশ্য
গণ অধিকার পরিষদের মূল উদ্দেশ্য মানবিক, গণতান্ত্রিক সামাজিকভাবে ন্যায় সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস আমরা একটু পরেই বিস্তারিত জানতে পারবো এখন আমরা গণ অধিকার পরিষদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা: গণ অধিকার পরিষদ সবসময় বিশ্বাস করে যে জনগণের ক্ষমতা এবং অধিকারই প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। এই পরিষদ একটি স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে সকল নাগরিক সমান অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা পাবে।
মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচার: গণ অধিকার দলটি মানবাধিকার রক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে। তারা সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক সব ধরনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । তারা সমাজের প্রান্তিক ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:গণ অধিকার পরিষদ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে যেখানে ধনী-গরীব বৈষম্য কমিয়ে আনা হবে এবং তারা একটি মানবিক অর্থনৈতিক নীতির প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যা সকল মানুষের জন্য সাম্য সুষম উন্নয়ন এবং সুযোগ নিশ্চিত করে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: গণ অধিকার পরিষদ শিক্ষার সুযোগ এবং স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য সমানভাবে নিশ্চিত করার পক্ষে রয়েছে। বিশেষত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং অবহেলিত গোষ্ঠীর জন্য এই সেবাগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করায় তাদের লক্ষ্য।
পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন: গণ অধিকার পরিষদ সব সময় টেকসই উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব পাই এবং তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য কার্যকর নীতি গ্রহণের পক্ষে রয়েছেন।
ন্যায়বিচার ও সুশাসন: গণ অধিকার পরিষদ আইন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সমান আচরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য তারা সব সময় কাজ করেন।
গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস খুব বেশি দিনের না হলেও তাদের গঠনতন্ত্র এবং নীতিমালার জন্য মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়। নুরুল হক নুর সবসময় চেয়েছেন এই দলটি যেন গণমানুষের মনের দাবি নিয়ে কাজ করতে পারেন
গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস
গণ অধিকার পরিষদ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে এই দলের পথচলা শুরু হয়। তরুণের সঙ্গে অনেক প্রবীণরাও এই দলে যুক্ত হন। আজকে আমি আপনাকে জানাবো গণধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:
প্রতিষ্ঠা ও প্রেক্ষাপট:২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর থেকেই গণ অধিকার পরিষদের মূল ভিত্তি গড়ে ওঠে। ওই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করে যার ফলে নতুন একটি রাজনৈতিক চেতনা সৃষ্টি হয়।
যার ফলে এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এবং কিছু তরুণ রাজনীতিবিদ সাথে কিছু সমাজকর্মী মিলে ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গণ অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন । এদের মধ্যে ডক্টর রেজা কিবরিয়া, নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান দল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরো পড়ুনঃ কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে
যদিও পরবর্তীতে ডঃ রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নূর এরমধ্যে মতাদর্শের অমিল হওয়ায় দুইজন আলাদা হয়ে যান এবং নিজেরা নতুন করে দল গোছাইতে থাকেন। তবে পরবর্তীতে ডক্টর রেজা কিবরিয়ার তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
আদর্শ ও লক্ষ্য: গণ অধিকার পরিষদ একটি মধ্য বামপন্থী রাজনৈতিক দল। যার মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। তারা চান দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নতুন ধরনের একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা। আমরা বর্তমানে জানতেছি গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস।
সংগঠন ও কাঠামো: গণ অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামোতে ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রম অধিকার পরিষদ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন রয়েছে। এই অঙ্গ সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে গণতন্ত্র, অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেন।
বর্তমান অবস্থা: গণ অধিকার পরিষদ রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন শক্তি হয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে। যদিও এটি একটি নতুন দল তবে তারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি করার ইচ্ছা জাগিয়ে তুলতে পেরেছেন। এজন্যই দেশের অধিকাংশ তরুণদের সমর্থন এই দলের প্রতি রয়েছে।
দেশের বর্তমান তরুণরা যেটি চায় মূলত সেটি নিয়েই গণ অধিকার পরিষদ কাজ করছেন। তারা তরুণদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে কথা বলেন এজন্য তরুণদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: গণ অধিকার পরিষদ চায় দেশের মূল ধারার রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে। এবং জনগণের সমর্থন পেলে তারা নিজেরা সরকারও গঠন করতে চায়। গণধিকার পরিষদ জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য এবং দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি উন্নত সুশাসিত এবং ন্যায়বিচার পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে চায়।
এসবের মাধ্যমেই গণ অধিকার পরিষদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায়। আমরা আজকে জানলাম গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস। তরুণ সমাজের অনেকেই এই দলটিকে নিজের আদর্শ মনে করে নিয়েছেন।
গণ অধিকার পরিষদের দৃষ্টি ভঙ্গি
একটু আগেই আপনি গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছেন। এখন জানবেন গণ অধিকার পরিষদের দৃষ্টিভঙ্গি ।দলের ভিশন ও লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক,দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন, জ্ঞানভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন।
শেষ কথা:
গণ অধিকার পরিষদ ইতিহাস সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনেছি। যেকোন রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কিছু মোটিভ থাকে। তবে ক্ষমতায় আসার পর কতটা পালন করে সেটি আমাদের দেখার বিষয়। পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এরকম অথেন্টিক সব তথ্য পেতে নিয়মিত আমার এই ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url