প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন -প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ

বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। আপনি আমি আমরা সবাই কমবেশি ক্রিকেট খেলেছি এবং আমরা ক্রিকেটের নিয়ম-কানুনও জানি। তবে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন আলাদা হয়ে থাকে। প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপও হয়ে থাকে। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন

প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। যদি তাদের ঠিকমতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে তারাও অনেক কিছু করতে পারে। সকল সেক্টরেই প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক কিছু রয়েছে।

ভূমিকা

ক্রিকেট অন্যতম একটি জনপ্রিয় খেলা। একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে ক্রিকেট খেলে থাকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো কিভাবে খেলতে পারেনা। তাদের জন্য প্রতিবন্ধী ক্রিকেট চালু করেছে একটি সংস্থা। আপনি যদি প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।

প্রতিবন্ধী ক্রিকেট ও এর ইতিহাস

প্রতিবন্ধী ক্রিকেট শুরু করা হয় সাধারণত সমাজে পিছিয়ে পরা প্রতিবন্ধী মানুষদের আত্মনির্ভরশীলতা ও সমাজে তাদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করার জন্য। এই ক্রিকেট শুধুমাত্র প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এটার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য একটাই যে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া যাতে করে সমাজে তাদের যে নিচু চোখে দেখা হয় তা থেকে বের হয়ে আসে মানুষ।
সর্বপ্রথম ১৯৮০ এর দশকে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের প্রচলন হয়। হঠাৎ করে একটি প্রতিবন্ধী দলের আবির্ভাব হয়। তখন বিশ্বের তিনটি দল অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড ইন্ডিয়া প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার খোঁজার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে ।

এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে আমি জানাবো প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। ২০০০ সালের দিকে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট ম্যাচের প্রচলন শুরু হয়। তারপরে আর এই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটকে পিছে ঘুরে তাকাতে হয়নি।

কয়েকজন উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার

আমরা অনেকেই সাধারণ ক্রিকেটারের নাম জেনে থাকলেও প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারের নাম জানিনা এখন আমি কয়েকজন উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের নাম জানাবো। এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি সেই কাঙ্খিত তথ্য প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে সম্পন্ন ধারণা পেয়ে যাবেন। কয়েকজন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার হলেন -
  • আয়াজ আমির (পাকিস্তান): আয়াজ আমির একজন সুপ্রসিদ্ধ পাকিস্তানি প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার। তিনি দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি অলরাউন্ডার অর্থাৎ ব্যাট ও বলে ওমান পারদর্শী। তিনি কয়েক দফায় পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন ও ছিলেন।
  • ইসমাইল হাসান (দক্ষিণ আফ্রিকা): একজন ব্যাটিং হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলে তার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার এর মধ্যে ফিল্ডিং হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে সাউথ আফ্রিকা প্রতিবন্ধী দলের নির্ভরযোগ্য এক নাম ইসমাইল হাসান
  • এলেক্স জেমস (অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়া দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন এলেক্স জেমস।
  • শাহিনুর রহমান (বাংলাদেশ): শাহিনুর রহমান এক উজ্জ্বল প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের একজন সফল অলরাউন্ডার । তার বিশেষত্ব হলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি তার জাত চেনানোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।
আপনাকে কয়েকজন প্রতিভাবান ও উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারের নাম জানালাম। এখন প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন ও প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে বর্ণনা করবো।

প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ

সাধারণ ক্রিকেটেও যেমন বিশ্বকাপ হয়। তেমনি ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির হাত ধরে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ চালু হয়েছে। এই টুর্নামেন্টটি প্রতিবন্ধীদের বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছে এবং তাদের প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ দিয়েছে। 
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ঢাকাতে এই বিশ্বকাপ এর আয়োজন করা হয়। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে ধরা যায় । প্রথম বিশ্বকাপে ভারত প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব লাভ করে।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি প্রতিবন্ধী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়ার কয়েকটি দেশ নিয়ে প্রতিবন্ধী এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর রেশ ধরেই এখন বর্তমানে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট সারা বিশ্বে প্রচলিত। 

প্রতিবন্ধী ক্রিকেট পরিচিত হলেও প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত করব।

প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দল

২০১৫ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রথম প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে মোট আটটি দল। আটটি দল হলো যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। 
প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দল

প্রথমবারের মতো শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ভারত।২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ার পরে ২০১৯ সালে আইসিসির অধীনে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক বছর আগেও মানুষের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট নিয়ে এত উৎসাহ ছিল না। 
বর্তমানে মানুষ প্রতিবন্ধী ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ দেখায় এবং প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চাই ।

মহিলা প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল

সকল ক্ষেত্রে সমতা প্রদানের জন্য ২০১০ সালের দিকে এসে আইসিসি সিদ্ধান্ত নেয় যে মহিলা প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের উদ্ভব ঘটানোর জন্য। প্রথমের দিকে সবাই আঞ্চলিকভাবে গঠনকারে এবং আঞ্চলিকভাবে খেলা শুরু করে কিন্তু বর্তমানে তা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চালু হয়েছে। 

ভারত ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া এরা ২০১০ এর দিকেই মহিলা প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল চালু করে দেয়।ভারতের কয়েকটি রাজ্যে প্রতিবন্ধী মহিলাদের নিয়ে ক্রিকেট ক্লাব ও সংস্থা তৈরি হয়েছে। ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে এখন এই মহিলা প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলা হয় ক্লাব ভিত্তিক ভাবে।
তবে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন এর আইন অনুযায়ী মেয়েদের ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুটা ভিন্নতা দেখা দেয় । তবে মহিলা ক্রিকেটার এর ক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয়তা ও তাদের আর্থিক যে সম্মানে সেটাও কিছুটা ভিন্ন হয়।

প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন

এতক্ষণ আমি আপনাকে জানালাম প্রতিবন্ধী ক্রিকেট নিয়ে জানাচ্ছিলাম। এখন প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন বর্ণনা করবো। প্রথমত প্রতিবন্ধী ক্রিকেট কে কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী, বধির ক্রিকেটার ও দৃষ্টিহীন ক্রিকেটার। 

দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সাধারণত ব্যাট ও বল এমন ভাবে তৈরি যাতে করে শব্দ হয় এবং ক্রিকেটারদের বুঝতে সুবিধা হয়। প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ব্যাট ও বলের আকারের ধরনেও কিছুটা পরিবর্তন হয়। 
ব্যাট যে যার মত করে তৈরি করে নিতে পারে তবে এখানেও কিছুটা নিয়ম রয়েছে ওই নিয়মের ব্যতিরেকে ব্যাট তৈরি করা সম্ভব নয়।

খেলোয়ার সংখ্যাঃ প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও সাধারণ ক্রিকেটের মত ১১ জন করেই দলগতভাবে খেলাটি সম্পন্ন হয়। প্রতি দলে ১১ জন করে খেলোয়ার থাকে। এবং অতিরিক্ত হিসাবে আরো চারটি করে খেলোয়ার দলে অন্তর্ভুক্ত থাকে। আবার দিক বিবেচনা করে পরিস্থিতি অনুযায়ী এর সংখ্যা কিছুটা কমও হতে পারে।

নিয়মাবলিঃ সাধারণ ক্রিকেটের মতোই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের নিয়মও প্রায়ই একই তবে কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে। যখন তারা খেলে স্ট্রাইক প্রান্তে তাদের সেফটির জন্য একটি আলাদা করে সুযোগ দেওয়া হয়। এবং দলে মাঠে প্লেয়ারদের মধ্যে চূড়ান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে পারে। সেটি তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমেও হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটি সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

খেলার সময়ঃ যেহেতু এখনো প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের জন্য টেস্ট ম্যাচ চালু হয়নি। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র টি একটি টুইন্টি অর্থাৎ বিশ ওভার ও ওয়ানডে অর্থাৎ ৫০ ওভারের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাভাবিক নিয়মের খেলার সময় যা থাকে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে খেলার সময় একই সময় সময় থাকে। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টির জন্য চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা ও ওয়ানডের জন্য ৮ থেকে ৯ ঘন্টা।
টুর্নামেন্ট ও বৃষ্টি আইনঃ সাধারণ ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে একই নিয়মে বিশ্বকাপ বাছাই ও বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি আইনের ক্ষেত্রেও একই।

এতক্ষণ আমি আপনাকে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানালাম।প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে জানাবো।

প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে বাংলাদেশ

প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের যুগে বাংলাদেশ পা রাখে ২০০১ সালের শেষের দিকে। ২০০২ সালে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন এর কিছুটা রদবদল হওয়ায় তা বাংলাদেশীদের জন্য সুহজ হয়৷ তখনই বিসিবি ও বিভিন্ন সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে প্রবেশ করে। 
প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে বাংলাদেশ

২০১০ সালে এসে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের ওপর বিসিবি তুলনামূলকভাবে বেশি নজর দেয়। এরই পরিপেক্ষিতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রতিবন্ধী ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়।বর্তমানে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী।

তিনি ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট নিয়ে কিছু ক্লাব ও সংস্থা গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিসিবি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সবাই এক হয়ে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের প্র্যাক্টিস ও প্লেয়ার বাছাই বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের ও তাদের পরিবারদের নিয়ে প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন ও এর আর্থিক সম্মাননা ও পারিপার্শ্বিক সম্মান সম্পর্কে অবগত করছে। যাতে করে প্রতিবন্ধীরা ক্রিকেটের উপর উৎসাহিত হয়।

শেষ কথা

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের লক্ষ্য প্রতিবন্ধীদের সমাজে সম্মানীত করা ও বাংলাদেশকে বিশ্বের মঞ্চে পরিচিত করা। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এরকম তথ্যবহুল বিষয় সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url