মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার -মস্তিষ্ক কিভাবে সুরক্ষিত রাখবো

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের কোন না কোন সময় মস্তিষ্কের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা এটিকে বড় কোন সমস্যা মনে না করলেও দীর্ঘ সময় ধরে এটি বয়ে বেড়ানোর কারণে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং মস্তিষ্ক কিভাবে সুরক্ষিত রাখবো সে সম্পর্কে।
মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের উচিত আমাদের মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখা। মস্তিষ্ক কাজ না করলে মানুষের পুরো শরীর অকেজো হয়ে পড়ে। এজন্য মস্তিষ্কের বিষয় আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

ভুমিকা

মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণীকুলের চেয়ে জ্ঞান বেশি দিয়েছেন। আমরা জানি মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে। মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের অত্যন্ত জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।

এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজ আমাদের চলাফেরা স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। আপনি যদি মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক যায়গায় ক্লিক করেছেন।

মস্তিষ্ক এর গঠন

মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পুর্বে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত মস্তিষ্কের গঠন সম্পর্কে। আমরা জানি আমাদের শরীরের অত্যন্ত জটিল একটি অংশ বা অঙ্গ হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক সাধারণত তিনটি অংশে বিভক্ত থাকে। তিনটি অংশ যথাক্রমে অগ্র মস্তিষ্ক, মধ্য মস্তিষ্ক ও পশ্চাৎ মস্তিষ্ক। 
এই প্রতিটি অংশের ভিন্ন ভিন্ন কাজ রয়েছে , আমরা জানবো এই অংশগুলো কিভাবে কাজ করে থাকে।অগ্র মস্তিষ্ক আবার তিন ভাগে বিভক্ত সেরেব্রাম,থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস। পশ্চাৎ মস্তিষ্ক আবার তিন ভাগে বিভক্ত সেরেবেলাম,পনস ও মেডুলা অবলংগাটা৷ এগুলোর কয়েকটি অংশ সম্পর্কে আমরা জানব।
  • সেরেব্রামঃ বড় ও কুণ্ডলী পাকানো ও খাজ বিশিষ্ট দুটি পাশাপাশি অংশকে সেরেব্রাম বলে। সেরে ব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ যা মস্তিষ্কের ওজনের ৮০ ভাগ এবং এর অন্যান্য অংশগুলোকে আবৃত করে রাখে। এটার বহিঃস্থ সাধারণত তিন সেন্টিমিটার পুরু হয়। সেরেব্রাম সাধারণত হোয়াইট ম্যাটার ও গ্রে ম্যাটার হিসাবে কাজ করে।
  • থ্যালামাসঃ প্রত্যেকটি সেরেব্রাল হেমাসফিয়ার এর সেরেব্রাল অবস্থিত এবং গ্রেম্যাটারের গঠিত একেকটি ডিম্বাকার অঞ্চল কে থ্যালামাস বলে।
  • হাইপোথ্যালামাসঃ এটি ঠিক থ্যালামাসের নিচে অবস্থিত। অন্তত এক ডজন পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত থাকে।
  • সেরেবেলামঃ এটি পশ্চাৎ মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ যা কুন্ডলিত অবস্থায় থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সেরেবেলামের গড় ওজন হয়ে থাকে ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রাম।
এতক্ষণ আমরা জানছিলাম মস্তিষ্কের গঠন; এই গঠনের উপর ভিত্তি করেই আমরা জানবো মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার।

মস্তিষ্কের কাজ

মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। মস্তিষ্ক আমাদের দেহকে পরিচালিত করে। তাই আমাদের সকলের মস্তিষ্ককে নিয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে । মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে , তবে এটি জানার আগে আমাদের মস্তিষ্কের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত।

মস্তিষ্কের সেরেব্রাম আমাদের দৃষ্টি, শ্রবণ শক্তি, স্পর্শানুভূতি, বুদ্ধি, স্মৃতি শক্তি ইত্যাদির কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে থাকে। মস্তিষ্কের থ্যালামাস চাপ, ক্রোধ, আবেগ, এসকল অনুভূতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে যা আমাদের সাধারণ ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক আচরণ ফুটিয়ে তোলে। 
মস্তিষ্কের হাইপোথেলামাস দেহতাপ নিয়ন্ত্রণ,পরিপাক,নিদ্রা ও ভিতি ইত্যাদি ধরনের মানসিক কাযের সমন্বয় করে থাকে। সেরেবেলাম দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে; মাথা ও চোখের সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে; বিভিন্ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দর্শন ও শ্রবণ তথ্যের সমন্বয়ে ঘটায় এবং তা প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে।

মস্তিষ্কের পনস সেরেবেলাম ও মডুলাকে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত করে থাকে। মেডুলা অবলংগাটা হৃদপিন্ডের স্পন্দন, শ্বসন,খাদ্য গলাধকরণ, পরিপাক, ঘাম নিঃসরণ ইত্যাদি করে থাকে। এতক্ষণ আমরা জানলাম মস্তিষ্ক কি কাজ করে থাকে।

মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে

আমাদের মস্তিষ্কের মূল কাজ সম্পাদনা করে হলো নিউরন। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে যা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এই নিউরন গুলো রোগে আক্রান্ত হতে পারে;যেহেতু নিউরনের সাথে মস্তিষ্কের সম্পর্ক তাই আমাদের মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এর দিকে ভালো করে নজর দেওয়া উচিত। 
মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে

সাধারণত নিউরনগুলো তিন ভাবে কাজ করে থাকে। প্রথমত সেল বডিতে ; সেল বডিতে নিউক্লিয়াস থাকে। আরেকটি অংশ হল ডেনড্রাইট যা ছোট ছোট অংশে ভাগ হয়ে যায় এবং প্রতিটি নিউরনকে যুক্ত করে। 

সর্বশেষ অংশটি হলো এক্সন যা দীর্ঘ একটি অংশ; দীর্ঘ হওয়ায় এটি সংগ্রহ করে নিউরনে পাঠায়। নিউরন সাধারণত বৈদ্যুতিক সংযোগের মত কাজ করে থাকে। যেমন আমরা চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথমত আমরা দৃষ্টি দিয়ে দেখি এবং তা পর্যবেক্ষণ করি এ তথ্য আমাদের চোখ বিশ্লেষণ করে থাকে।
অতঃপর আমরা যখন শ্রবণ করি শব্দের মাধ্যমে তা আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায় । এইগুলা জানার আগে মস্তিষ্কের লোব সম্পর্কে জানা উচিত।
  • ফ্রন্টাল লোবঃ মানসিক বোধ হিসাবে কাজ করে
  • প্যারাইটাল লোবঃ সাধারণ অনুভুতি হিসেবে কাজ করে
  • টেম্পোরাল লোবঃ শ্রুতি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
  • অক্সিপিটাল লোবঃদৃষ্টি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
  • লিমবিক লোবঃ সহজাত প্রবৃত্তির কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে
আমরা জানলাম মস্তিষ্কের প্রতিটি লোবের কাজ কি । এখন আপনি জানবেন এই লোব গুলো কিভাবে মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিউরন কে অবহিত করবে এই আর্টিকেল টি পড়ার পরে । মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব আমাদের চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। 

আমরা চোখ দিয়ে একটা জিনিস দেখলাম ও কান দিয়ে একটা জিনিস শুনলাম সেটার পরে সাথে সাথেই ফ্রন্টাল লোব মস্তিষ্কে নিউরন এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে এই তথ্যটি পৌঁছে দেয়। সাথে সাথেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। 

আমরা দেখলাম একটি সাপ আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে তখন আমাদের চোখের ফ্রন্টাল লোব নিউরনকে খবর দেয় এবং মস্তিষ্ক সাথে সাথেই আমাদের সিদ্ধান্ত দেয় যে আমরা এখানে থাকবো নাকি আমরা ছুটে দৌড় দিব নাকি লাঠি হাতে নিব।

নতুন নতুন ও দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ফ্রন্টাল লোব কাজ করে থাকে। আমাদের আবেগ ও অনুভূতি মস্তিষ্ক নিমন্ত্রণ করে থাকে। আমরা যখন কষ্ট পাই তখন শরীরে থাকা এক্সন তথ্য সংগ্রহ করে ডেনড্রাইট এর মাধ্যমে নিউরনের কাছে তথ্য পাঠায় এবং নিউরন তা মস্তিষ্কের কাছে পাঠায়। সাথে সাথেই মস্তিষ্ক আমাদেরকে সিদ্ধান্ত দেয় এখন আমরা কি করব। 
প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেখছি মস্তিষ্ক এর সাথে নিউরন গুলো জটিল ভাবে জড়িত এই নিউরনগুলো যেন বিকল না হয় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এর জন্যই আমাদের জানা প্রয়োজন মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। 

আমরা যখন কথা বলি বা শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে এক্ষেত্রেও ডেনড্রাইট আমাদের নিউরনের তথ্য পাঠায় নিউরন মস্তিষ্ককে পাঠায় মস্তিষ্ক সাথে সাথে আমাদের সেই অংশকে কার্যকর করে তোলে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা শুরু করে। 

মস্তিষ্ক আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এই নিউরনের মাধ্যম দিয়ে। এখন আমি আপনাকে মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করবো।

মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জ্ঞ্যান রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মস্তিষ্ক অসুস্থতার প্রথম লক্ষণ হলো মাথা ব্যথা,তারপরে ধীরে ধীরে শুরু হয় মুড পরিবর্তন হওয়া। একসময় সেটি এসে দাঁড়ায় স্মৃতিশক্তি হ্রাসের পর্যায়ে। 

মস্তিষ্কের কোন রোগ হলে মানুষ ভারসাম্য হারাতে শুরু করে হাঁটতে বা দৌড়াতে সমস্যা হতে পারে। হঠাৎ করে সামনে থেকে পিছনে ঘুরতে গেলে মাথা ঘুরে উঠতে পারে। শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ঝাঁকুনি বা কাপুনি হতে পারে। কথা বলতে অসুবিধা হয় অর্থাৎ শব্দের অভাব দেখা দেয় যেন সে অনেক শব্দই জানেনা।
আপনার যদি এই সকল সমস্যা দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গেই নিউরোলজিস্ট এর সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং ডাক্তার যে ওষুধগুলোর সাজেস্ট করবে সে ওষুধগুলো খাওয়া ও তার পরামর্শ গুলো বা দিক নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে পালন করা।

এখন মস্তিষ্কের কোন রোগ হলে ফিজিওথেরাপি বা সাইকো থেরাপি দেওয়া হয়। যদি কারো মস্তিষ্কে টিউমার হয় সেক্ষেত্রে এটি সার্জারি করে কেটে ফেলা হয়। এভাবেই সাধারণত প্রতিকার করা হয়।

মস্তিষ্কের রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবো

আমরা মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনেছি তবে শুধু লক্ষণ ও প্রতিকার জানলে আপনার চলবে না। আপনার উচিত মস্তিষ্কের রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবেন এটাও জানা।সাধারণত মস্তিষ্কের রোগ হয় মাথায় বেশি প্রেসার নেওয়া,দুঃচিন্তা করা, অত্যাধিক কথাবার্তা বলা

যেগুলোকে অপ্রয়োজনীয় বলা হয় সেগুলো না বলাই ভালো। ধূমপান ও অ্যালকোহলের কারণে মস্তিষ্কের রোগ বেশি হয় এর জন্য ধুমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ করার অভ্যাস থাকলে তা আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। খেজুর আখরোট মাছের ডিম ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
যদি পারিবারিকভাবে মস্তিষ্কের রোগের কোন ইতিহাস থাকে সে ক্ষেত্রে বছরে অন্তত দুইবার নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উপরে উল্লেখিত সকল বিষয়ে খেয়াল করলে আশা করি আপনি মস্তিষ্কের রোগ করতে পারবেন।

মস্তিষ্ক কিভাবে সুরক্ষিত রাখবো

উপরের আলোচনা যদি আপনি বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জেনে গেছেন মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও প্রতিরোধ এইগুলা জানার পরে আপনার অবশ্যই মস্তিষ্ক কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন এটা জানাও আপনার জন্যে আবশ্যক ।
মস্তিষ্ক কিভাবে সুরক্ষিত রাখবো

মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখতে হলে আমাদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে, শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিকভাবে ব্যায়াম করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে । অত্যাধিক মানসিক চাপ গ্রহণ করা যাবে না। ঠান্ডা মাথায় থাকতে হবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের মস্তিষ্ক সুরক্ষিত থাকবে।

শেষ কথা

উপরের আর্টিকেলটিতে আমরা জানলাম মস্তিষ্কের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং মস্তিষ্ক কে কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারব এ সকল ব্যাপারে বিস্তারিত । আমরা আমাদের এই মস্তিষ্ক, জ্ঞান-বুদ্ধি ইত্যাদিকে ভালো কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করবো। 
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এরকম প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন একবার করে হলেও ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url